বন্য ঘোটকী
[অন্ধকারে ছোঁড়া ঢিল লক্ষগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে এল উঠোনে আবার
ফুলে উঠল জলরাশি,দুলে উঠল বহুতল,ঝালাঅঙ্গদ্যুতিতে ত্রিতাল
পাল্লা দিচ্ছে তরঙ্গের মুহূর্মুহূ অভিঘাতে ,আঙুলেরা এতই চপল ! ]
আজ থেকে ধরা যাক
৩৬৩তম পুরুষের আগে এক দুপুর
বেলায়
৮০তলা গাছেদের ঘিরে
থাকা কোনো এক উপলখণ্ডকে কাছে পেয়ে
পাথর-কুড়ুল আর
নিজেদের ধনুর্বান ,পাতার পোশাক খুলে রেখে ,
বাছুরের ঝলসানো
মাংস আর সোম নিয়ে বসে পড়ল সে যুগের
প্রেমিক-যুগল...
সোনার উজ্জ্বল রং
দুজনার খোলা চুল হাওয়াতে ছড়িয়ে দিয়ে কাছে ঝর্নায়
ঘন হয়ে মিশে গেল পিঙ্গল
বর্ণের দেহ ;সাক্ষী থাকল শুধু বন,নদী ও
পাহাড়
ছেলেটি সে
পুষ্পধন্বা ,মেয়েটির নাম রতি;ভাই-বোন, যাকে ঘিরে প্রকৃতি উত্তাল !
ভোল্গার তট ছঁয়ে
চঞ্চলতা উঠে এল ‘ জন-দম’* মধ্য থেকে
ছড়াল হাওয়ায়
এখানে নারীরা কারো
অধিকারভুক্ত নয় ; বুনো ঘোটকীর মতো দুরন্ত, স্বাধীন
সন্তানেরা সকলেই
দেবত্বের অধিকারী ,ব্রহ্মাণী-জনের অংশ, পবিত্রতা অগ্নিশিখার ...
(* জন-দম = যৌথ
বাসগৃহ )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন